ads

ইয়াসুমিতসু শিগেতার বিলিয়ন ডলারের সম্রাজ্যের পেছনের গল্প

millions-from-mobile-billions-from-power-yasumitsu-shigeta-empire.jpg

ইয়াসুমিতসু শিগেতা! যিনি কিনা যখন মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতো, তখন মোবাইল ফোনকে বানিয়ে ফেললেন ব্যবসার লাইফলাইন!


শুধু মোবাইলই নয়, বিদ্যুৎ, গ্যাস, আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সেবা দিয়ে তিনি তৈরি করলেন এক বিশাল অর্থের সাম্রাজ্য। 

আর ফলাফল? 

এসব করে করে ২০২৫ সালে জাপানের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় প্রথমবারের মতো শীর্ষ পাঁচে ঢুকে পড়লেন এই ট্রিকি ইয়াসুমিতসু শিগেতা! 


বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ $৬.৯ বিলিয়ন ডলার! গল্পটা বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন! 


কে এই ইয়াসুমিতসু শিগেতা?

ইয়াসুমিতসু শিগেতা মূলত হিকারি তসুশিন ইঙ্ক. এর চেয়ারম্যান! যা মূলত একটি টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসাবে বর্তমানে কাজ করছে। মোবাইল ফোন সেল থেকে শুরু করে বর্তমানে তারা বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহও করে থাকে। 


নাম শুনে সাধারণ মনে হলেও, এই কোম্পানির ব্যবসায়িক কাঠামো এতটাই ইউনিক এবং ডিপ যে জাপানে SME (Small and Medium Enterprise) খাতে এই কোম্পানি বর্তমানে নাম্বার ওয়ান! সুতরাং বুঝতেই পারছেন, সবকিছু মিলিয়ে রীতিমতো ফায়ার! 


ইয়াসুমিতসু শিগেতার হিকারি তসুশিন কোম্পানির সফলতার রহস্য

গবেষণা বলছে ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে, হিকারি তসুশিন-এর শেয়ার মূল্য ৬২% বেড়েছে। আর রিসার্চ বলছে এর পেছনে মূলত তিনটি কারণ:


  • B2B গ্রাহক বেইস
  • বড় আকারের মোবাইল চ্যানেল পার্টনারশিপ
  • আর 
  • স্মার্ট বিলিং ও AI কাস্টমার সার্ভিস


ব্যাস! এসবের কারণে ৫০,০০০+ এসএমই এখন তাদের গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিষেবা নিচ্ছে হিকারি থেকে। পাশাপাশি এক বছরে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউনিট মোবাইল ও ডিভাইস। এছাড়াও এই কোম্পানিতে রয়েছে তাদের গ্রাহকদের জন্য চালু করা AI বট সাপোর্ট! যা প্রতিদিন গড়ে ২,০০০+ কাস্টমার কুইরি হ্যান্ডেল করছে।


মোবাইলের বাইরেও কি নিয়ে খেলছে হিকারি তসুশিন?

মোবাইলের বাইরেও কিন্তু খেলছে হিকারি তসুশিন কোম্পানি! এর পাশাপাশি কোম্পানিটি কাজ করছে SME ইউটিলিটি মার্কেট নিয়ে। ২০২৪ সালে কোম্পানির ইউটিলিটি বিভাগ থেকে আয় এসেছে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের তুলনায় ৩১% বেশি এই প্রোফিট কিন্তু মুখের কথা নয়। 


ব্যবসায় মিলিয়নার ইয়াসুমিতসু শিগেতার চালাকি

এবার আসি ব্যবসায় মিলিয়নার ইয়াসুমিতসু শিগেতার চালাকির ব্যাপারে! মোবাইল সেলসম্যান থেকে মাল্টি-বিলিয়নেয়ার হওয়ার এই জার্নিতে তিনি সবচেয়ে বেশি ফোকাস করেছেন বিজনেস মাইন্ড! আসুন বিস্তারিত জানি! 


ইয়াসুমিতসু শিগেতার কোম্পানি যখন প্রাথমিকভাবে গড়ে উঠেছিল ১৯৮৮ সালে, তখন তার মাত্র ৫ জন কর্মচারী ছিলেন। আর আজ তার কর্মীর সংখ্যা ৭,৫০০+। এবং প্রতি বছর গড়ে ১২% রেভিনিউ গ্রোথ দেখাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,

যেখানে বড় কোম্পানি “No” বলে আমরা সেখানে “Yes” খুঁজি।

ইয়াসুমিতসু শিগেতার ব্যাপারে কিছু ফান ফ্যাক্ট

ইয়াসুমিতসু শিগেতা কিন্তু প্রচুর বই পড়েন। শিগেতার প্রিয় বইয়ের নাম The Art of War! আপনারাও চাইলে বইটির পিডিএফ নামিয়ে পড়তে পারেন। 


তাছাড়া প্রতি বছর তিনি একটি করে নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করেন। আর ২০২৫ সালে তিনি শিখছেন ইন্দোনেশিয়ান ভাষা। 


ইতি কথা

সবমিলিয়ে ইয়াসুমিতসু শিগেতার মতো সফল ব্যাক্তিরা আমাদের মনে করিয়ে দেন সফলতা শুধু নতুন কিছু আবিষ্কারের মধ্যে নয়! বরং পুরনো সমস্যার আধুনিক সমাধান দেওয়াতেও রয়েছে সফলতার সিঁড়ি। আজকের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তিনি এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা। যিনি কিনা প্রমাণ করে দিয়েছেন টোকিওর ব্যাকস্ট্রিট থেকে বিজনেস শুরু করেও কিভাবে গ্লোবাল বিজনেস স্টার হওয়া যায়!


লেখা: সুলতানা আফিয়া তাসনিম 

Previous Post Next Post

{ads}